কাজী নজরুল ইসলামের বাণী বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি বড় শক্তি । তার কারন তিনি সারা জীবন মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা সকলের মাঝে প্রকাশ করিয়াছেন । বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় আমাদের বাঙালি কবি, দার্শনিক,সংগীতস্রষ্টা,সঙ্গীতজ্ঞ, , যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকার সাথে সাথে প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম দেশপ্রেমী, সাহিত্যিক, এবং বাংলাদেশের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত আছে। কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
১. মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনও মন্দির-কাবা নাই
২. আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন
৩.মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।
৪. ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই
৫. প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন
৬. কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
৭. শিহরি উঠো না শাস্ত্রবিদেরের ক’রোনা ক’ বীর ভয় তাহারা খোদার খোদ ‘প্রাইভেট সেক্রেটারি’ তো নয়
৮. শুণ্যে মহা আকাশে তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে ভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণে নির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো
৯. অঞ্জলি লহ মোর সংগীতে প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমারে সুন্দর, বন্দিতে সঙ্গীতে।
১০.নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না ।
১১.মওলানা মৌলবি সাহেবকে সওয়া যায়, মোল্লাও চক্ষুকর্ণ বুজিয়া সহিতে পারি,..
.
১২. আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে, সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার…
১৩. মহা – বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত। যবে উৎপীড়িতের…
১৪. চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে ছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ…
১৫. হিন্দু না ওরা মুসলিম এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে, কাণ্ডারি বল ডুবিছে মানুষ..
১৬. তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ
১৭. সে দেশে যবে বাদল ঝরে কাঁদে না কি প্রাণ একেলা ঘরে, বিরহ ব্যথা নাহি কি সেথা বাজে না বাঁশি নদীর তীরে।
১৮. চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে ছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।
১৯. কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী; প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী
২০. খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে। প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।
২১.বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলে জাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।
২২. গিন্নির চেয়ে শালী ভালো
২৩. তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন
২৪. বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে- বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে
২৫. আসিবে তুমি জানি প্রিয় আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর। বনানতে পবন অশান্ত হল তাই কোকিল কুহরে, ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর
২৬. আমার যাবার সময় হল দাও বিদায় মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।
২৭.যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে! ছবি আমার বুকে বেঁধে পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মর” কানন গিরি, সাগর আকাশ বাতাস চিরি’ যেদিন আমায় খুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
২৮. নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর…
২৯. অঞ্জলি লহ মোর সংগীতে প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমারে সুন্দর,…
৩০.বসন্ত এলো এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে
৩১.ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই
৩২.নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না
৩৩.বসন্ত এলো এলো এলো রে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে
৩৪.বল বীর-বল উন্নত মম শির! শির নেহারী’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর
৩৫.গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনে থির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে; দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে
৩৬.বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে- বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি,…
৩৭.গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আসবে যখন কান্না, ব’লবে সবাই-“ সেই যে পথিক তার…
৩৮.আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী; চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ…
৩৯.ফুটবে আবার দোলন চাপা, চৈতি রাতের চাদনী আকাশ ছাওয়া তারায় তারায়…
৪০.আমার যাবার সময় হল দাও বিদায় মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।
৪১. .ও কারা কোরাণ বেদ বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি ও মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! – মুর্খরা সব শোন মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনও
৪২.আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি…
৪৩.বসন্ত মুখর আজিদক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনেবনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি
৪৪.গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আসবে যখন কান্না, ব’লবে সবাই-“ সেই যে পথিক তার শেখানো গান না?’’ আসবে ভেঙে কান্না! প’ড়বে মনে আমার সোহাগ, কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ! প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি অশ্র”-হারা কঠিন আঁখি ঘন ঘন মুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৪৫.কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।
৪৬.স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,- জাগবে হঠাৎ চমকে! ভাববে বুঝি আমিই এসে ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে, ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন! বেদনাতে চোখ বুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৪৭.আসবে ঝড়, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন, কাঁপবে কুটীর সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকে ক্রন্দন- টুটবে যবে বন্ধন! পড়বে মনে, নেই সে সাথে বাঁধবে বুকে দুঃখ-রাতে- আপনি গালে যাচবে চুমা, চাইবে আদর, মাগবে ছোঁওয়া, আপনি যেচে চুমবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৪৮.আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না’ক আর সে- তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে, আসবে না’ক আর সে! প’ড়বে মনে, মোর বাহুতে মাথা থুয়ে যে-দিন শুতে, মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়! সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায় কাঁটা হ’য়ে ফুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৪৯.ফুটবে আবার দোলন চাঁপা চৈতী-রাতের চাঁদনী, আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদনী- চৈতী-রাতের চাঁদনী। ঋতুর পরে ফিরবে ঋতু, সেদিন-হে মোর সোহাগ-ভীতু! চাইবে কেঁদে নীল নভো গা’য়, আমার মতন চোখ ভ’রে চায় যে-তারা তা’য় খুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৫০.ওলানা মৌলবি সাহেবকে সওয়া যায়, মোল্লাও চক্ষুকর্ণ বুজিয়া সহিতে পারি, কিন্তু কাঠমোল্লার অত্যাচার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে। ইসলামের কল্যাণের নামে ইহারা যে কওমের জাতির ধর্মের কি অনিষ্ট করিতেছেন তাহা বুঝিবার মত জ্ঞান নাই বলিয়াই ইহাদের ক্ষমা করা যায় না। ইহারা প্রায় প্রত্যেকেই ‘মনে মনে শাহ ফরীদ, বগল মে ইট’। ইহাদের নীতি ‘মুর্দা দোজখ মে যায় আওর বেহেশত মে যায়, মেরা হালুয়া রুটি সে কাম’।
৫১.ফুটবে আবার দোলন চাপা, চৈতি রাতের চাদনী আকাশ ছাওয়া তারায় তারায়…
৫২.আমার যাবার সময় হল দাও বিদায় মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।
৫৩.আসিবে তুমি জানি প্রিয় আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা,…
৫৪.খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায়…
৫৫.কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল -ঝিলে তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে। ছিট…
৫৬.যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে অস্তপারের সন্ধ্যাতারায়…
৫৭.আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি…
৫৮.যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার…
৫৯.গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনে থির সৌদামিনী রাধিকা…
৬০.শুণ্যে মহা আকাশে তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে ভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণে নির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো
৬১.অঞ্জলি লহ মোর সংগীতে প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমারে সুন্দর, বন্দিতে সঙ্গীতে।।
৬২.আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী; চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি
৬৩.ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে আমায় তারা ডাকে সাথী আয়রে আয় সজল করুণ নয়ন তোলো দাও বিদায়।।
৬৪.মহা – বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত। যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত
৬৫.হিন্দু না ওরা মুসলিম এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে, কাণ্ডারি বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র
৬৬.আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গন তুলতে সে ফুল গাথতে মালা, কাপবে তোমারকঙ্কণ কাদবে কুটির অঙ্গন, পড়বে মনে উঠবে কাদি বুকের জ্বালা করবে মালা চোখের জলে সেদিন বালা মুখের হাসি ঘুচবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৬৭.আসবে আবার আশিন হাওয়া, শিশির ছেচা রাত্রি থাকবে সবাই- থাকবে না এই মরন পথের যাত্রীই আসবে শিশির রাত্রি, থাকবে পাশে বন্ধু সুজন থাকবে রাত বাহুর বাধন বধুর বুকের পরশনে আমার পরশ আনবে মনে বিষিয়ে ও বুক উঠবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৬৮.আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি জবাবদিহির কেন এত ঘটা যদি দেবতাই হও টুপি পড়ে টিকি রেখে সদা বলো যেন তুমি পাপী নও পাপী নও যদি কেন এ ভড়ং ট্রেডমার্কার ধুম পুলিশি পোশাক পরিয়া হয়েছ পাপের আসামী গুম
৬৯.নামাজ পড়, রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই
৭০.আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর
৭১.আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে, সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে- দুলবে তরী রঙ্গে, প’ড়বে মনে সে কোন্ রাতে এক তরীতে ছিলেম সাথে, এমনি গাঙ ছিল জোয়ার, নদীর দু’ধার এমনি আঁধার তেমনি তরী ছুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৭২.যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৭৩.গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না বলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না?- আসবে ভেঙ্গে কান্না, পড়বে মন আমার সোহাগ কন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ পড়বে মনে আমার ফাকি অশ্রুহারা কঠিন আখি ঘন ঘন মুছবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৭৪.ও কারা কোরাণ বেদ বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি ও মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! – মুর্খরা সব শোন মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনও
৭৫.আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হানত্ সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান– আসবে তখন পান’। হয়ত তখন আমার কোলে সোহাগ-লোভে প’ড়বে ঢ’লে, আপনি সেদিন সেধে কেঁদে চাপবে বুকে বাহু বেঁধে, চরণ চুমে পূজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৭৬.ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর আকাশ বাতাশ চিরি সেদিন আমায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৭৭.আবার গাঙ্গে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে সেই তরীতে হয়তো কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে দুলবে তরী রঙ্গে, পড়বে মনে সে কোন রাতে এক তরীতে ছিলে সাথে এমনি গাঙে ছিল জোয়ার নদীর দুধার এমনি আধার তেমনি তরী ছুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে।
তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ, আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে
৭৮.আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হানত্ সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত
৭৯.আসবে ঝড়, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন, কাঁপবে কুটীর সেদিন ত্রাসে
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৮০.গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না বলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না?- আসবে ভেঙ্গে কান্না, পড়বে মন আমার সোহাগ কন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ পড়বে মনে আমার ফাকি অশ্রুহারা কঠিন আখি ঘন ঘন মুছবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৮১আসিবে তুমি জানি প্রিয় আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা,…
৮২.আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হানত্ সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হ’য়ে শ্রান– আসবে তখন পান’। হয়ত তখন আমার কোলে সোহাগ-লোভে প’ড়বে ঢ’লে, আপনি সেদিন সেধে কেঁদে চাপবে বুকে বাহু বেঁধে, চরণ চুমে পূজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৮৩.ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর আকাশ বাতাশ চিরি সেদিন আমায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৮৪.প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন
৮৫.আমার বুকের যে কাটা ঘা, তোমায় ব্যাথা হানত সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়তো হয়ে শ্রান্ত আসব তখন পান্থ, হয়তো তখন আমার কোলে সোহাগ লোভে পড়বে ঢোলে আপনি সেদিন সেধে-কেদে চাপবে বুকে বাহুয় বেধে চরন চুমে পূজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৮৬.বসন্ত মুখর আজিদক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনেবনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি
৮৭.স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,- জাগবে হঠাৎ চমকে! ভাববে বুঝি আমিই এসে ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে, ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন! বেদনাতে চোখ বুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৮৮.আবার গাঙ্গে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে সেই তরীতে হয়তো কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে দুলবে তরী রঙ্গে, পড়বে মনে সে কোন রাতে এক তরীতে ছিলে সাথে এমনি গাঙে ছিল জোয়ার নদীর দুধার এমনি আধার তেমনি তরী ছুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৮৯.তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা বন্ধ আমার মত কেদে কেদে হয়তো হবে অন্ধ সখার কারা বন্ধ, বন্ধু তোমার হানবে হেলা ভাঙ্গবে তোমার সুখের খেলা দীর্ঘ লো কাটবে না আর বইতে প্রাণ শ্রান্ত এ ভার সরন মনে যুঝবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৯০.মৌ-লোভী যত মৌলবি আর মোল-লা’রা কন হাত নেড়ে দেব-দেবী নাম মুখে আনে সবে দাও পাজিটার জাত মেরে ফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ও যদিও শহীদ হইতে রাজি ও আমপারা পড়া হামবড়া মোরা এখনও বেড়াই ভাত মেরে হিন্দুরা ভাবে পার্শী শব্দে কবিতা লেখে ও পা’ত নেড়ে
৯১.আসবে আবার আশিন-হাওয়া, শিশির-ছেঁচা রাত্রি, থাকবে সবাই – থাকবে না এই মরণ-পথের যাত্রী! আসবে শিশির-রাত্রি! থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন, থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন, বঁধুর বুকের পরশনে আমার পরশ আনবে মনে- বিষিয়ে ও-বুক উঠবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৯২.আসবে ঝড়ি, নাচবে তুফান টুটবে সকল বন্ধন কাপবে কুটির সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকেক্রন্দন টুটবে যবে বন্ধন, পড়বে মনে নেই সে সাথে বাধতে বুকে দুঃখ রাতে- আপনি গালে যাচবে চুমা চাইবে আদর মাগবে ছোওয়া আপনি যেচে চুমবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
৯৩.ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর…
৯৪.আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না’ক আর সে- তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে…
৯৫.আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ…
৯৬.বুকের মানিক বুকে ধরে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ ।সৃস্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছো চোখ বুজে ।
৯৭ .স্রষ্টারে খোঁজ আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে ! ইচ্ছা অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,দেখিবে ,তোমারি সব অবয়বে পড়েছে তাঁহার ছায়া ।
৯৮.বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর ,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর ।
৯৯. এ-দুনিয়া পাপশালা,ধর্ম-গাধার পৃষ্ঠে এখানে শূণ্য-ছালা !
১০০. বিশ্ব পাপস্থান ,অর্ধেক এর ভগবান,আর অর্ধেক শয়তান ।
কাজী নজরুল ইসলামের বাণী ধর্ম বর্ণ গোত্র সকল মানুষকে প্রেরণা দেয় ।