ভিটামিন সি এর উপকারিতা অনেক ।ভিটামিন সি সর্দি বা ঠান্ডা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হার্ট অ্যার্টাক ক্যান্সার ও স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে ।এছাড়া ত্বক সুন্দর ও দাঁত ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি দাঁত ত্বক ও চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে যা মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে ক্যান্সার হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে ।
প্রতিটি মানুষের জানা প্রয়োজন কোন ভিটামিনের অভাবে কোন রোগ হয় ও কোন ভিটামিন কোন রোগপ্রতিরোধ করে ।
ভিটামিন সি সর্দি কাশিতে বেশ উপকারী । এছাড়া মানব দেহে পর্যাপ্ত আয়রন শোষণে সহায়তা করে । গবেষণায় ঠান্ডায়
আক্রান্ত হওয়ার আগ থেকে বেশি পরিমানে এই ভিটামিন গ্রহন করলে ভালো উপকার পাওয়া যায় । তাছাড়া ভিটামিন সি তে
থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এই ভিটামিন
পেশি দাঁত মজবুত করে ক্ষত নিরাময় ও চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে আরোও কন্টনালি ও নাকের সংক্রমন প্রতিরোধ
করে ।
ভিটামিন সি পরিচিত ফল ও বিভিন্ন শাক সবজি যেমন পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী ,করমচা, লেবু , কমলালেবু, বাতাবীলেবু
আমড়া, জলপাই পেঁপে ,জাম,কাঁচামরিচ ,ফুলকপি, বাঁধাকপি টমেটো,লেটুসপাতা ,সজনে পাতা ,পুদিনা পাতা ,ধনে পাতা,
মুলাশাক ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তবে সকল টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ।
ওজন কমাতে :
শরীর থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চর্বি কমাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি গ্রহণ করুন । ফলে
ভিটামিন সি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল কার নাইটাইন সমন্বয় করে এবং চর্বি হজম করে তা শক্তিতে রুপান্তরিত করতে
সাহায্য করে । এছাড়া লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় প্রতিদিন খালিপেটে লেবু রস কুসুম গরম পানি সহ সরবত করে
খেলে ওজন কমাতে সহায়তা করে ।
ভিটামিন সি মানব দেহের বিভিন্ন হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুর হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে থাকে । এছাড়া মেনেপজ
পরবর্তী সময়ে যেসব নারীরা ভিটামিন সি বেশি গ্রহণ করেন তাদের হাড় অন্য মেয়েদের থেকে বেশি মজবুত থাকে ।
ভিটামিন সি প্রায় সব ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় । ভিটামিন সি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষ ও ডি এন এ
এর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে । এছাড়া এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধকরার ক্ষমতা
বাড়ায় । এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে । গবেষকদের মতে ভিটামিন সি সরাসরি ক্যান্সারের কোষে আঘাত
করে না । বরং মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে । তাই বলা যায়
ভিটামিন সি এর উপকারিতা মানব দেহের জন্য অনেক ।
চোখ ভালো রাখতে ভিটামিন সি কার্যকারী ভুমিকা পালন করে । কারণ ভিটামিন সি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রক্ত
চলাচল স্বাভাবিক রেখে চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে ।
দাঁতের মাড়ি ফুলা রোগকে সাধারণত স্কার্ভি রোগ বলা হয় । এই রোগ হলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় রক্তপড়ে ও দাঁত নড়ে ।
ভিটামিন সি এর অভাবে এই রোগ হয়ে থাকে । নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
এই ভিটামিন সি কে আমরা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামে চিনি । ভিটামিন সি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । তবে
ভিটামিন সি এর উৎস জানা থাকলে আমরা সহজে এই ভিটামিন গ্রহণ করতে পারবো । নিচে আলোচনা করা হলো
টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে । আর টক জাতীয় ফল হল -লেবু, কামরাঙ্গা, জলপাই,কুল, চালতা
আমরা ইত্যাদি । এই ফল গুলো নিয়মিত খেলে ভিটামিন সি এর অভাব হয় না ।
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় । ফুলকপি শীত কালের সবজি হলেও বর্তমানে সারা বছর ফুলকপি
পাওয়া যায় ।ফুলকপি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরন করে ।
টমেটোতে প্রর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে । আর টমেটোতে থাকা ভিটামিন পাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ভাবে
টমেটো খেতে পারি । যেমন রান্না করে ,সালাত হিসাবে,সচ হিসাবে ইত্যাদি ।
ভিটামিন সি এর উৎস গুলোর মধ্যে আনারস অন্যতম । কারন আনারসে থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আমাদের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে । আর ঠান্ডা জ্বর সারাতে আনারসের ভূমিকা অতুলনীয় ।আমরা বিভিন্ন
ভাবে আনারস খেয়ে থাকি । তবে ব্লেন্ড করে আনারসের জুস তৈরি করে খেতে অনেক সুস্বাদু ।
আরোও পড়ুন